• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যয়ভার বহন করবেন জেলা ছাত্রদল নেতা

  • ''
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

বর্তমান সরকারের অধীনে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে কোন নেতাকর্মী যুক্ত হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইসাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপজেলা নির্বাচনে জনগণকে সাথে নিয়ে বয়কট করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে জড়ালে আজীবন বহিষ্কার হতে হবে। কিন্তু এসব নির্দেশ তোয়াক্কা না করে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতির নির্বাচনী ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব নিলেন জেলা ছাত্রদলের সহ- সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী রতন।

জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠাতব্য লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও সাবেক সভাপতি মাহফুজুল আলমের পক্ষে জেলা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী রতন,উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ,সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুদ্দিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান, করাব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক এবং লাখাই ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফ আহমেদ রূপনের নাম জানা গেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ- উপজেলার নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামতে চাপ দিচ্ছেন। অন্যথায় কোন পদ-পদবি দেওয়া হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন বয়কটের নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানে তারা কিভাবে নিবার্চনী প্রচারণায় নামেন। তাও আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন তারা। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া একটি ভিডিও সম্পর্কে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান- গত শুক্রবার করাব গ্রামে আজাদের এক প্রচারণা সভায় মহিউদ্দিন মলাই নামে এক ব্যক্তি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে করাব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নিবার্চনের যাবতীয় খরচ জেলা ছাত্রদলের সহ সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী রতন বহন করবেন বলে ঘোষণা দেন। এই সভায় জাকারিয়া চৌধুরীর বড় ভাই এরশাদ চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন। এ ঘোষণা সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সভায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ. উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুস শহীদ, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ আহমেদ রূপন ও করাব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জেলা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক জাকারিয়া চৌধুরী রতন কোন মন্তব্য করেননি। পরে দেখা করে কথা বলবেন।

করাব ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান বলেন- ১৭ এপ্রিলের পর নির্বাচনের কোন প্রচারণায় আমি যাইনি। গত শুক্রবার করাব দাখিল মাদ্রাসায় মুশফিউল আলম আজাদের প্রচারণা সভায় উপস্থিত ছিলেন একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে এমন প্রশন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এতসব চিন্তা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন লাখাই উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রূপন। তিনি আরো বলেন- আমি নির্বাচনে না গেলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই নিজের প্রয়োজনে মাঠে আছি।

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন- এই ডামি সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমাদের নেতাকর্মীদের বয়কট করার জন্য দল থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে নেতাকর্মীরা সাধারণ জনগণকেও এই নির্বাচন প্রত্যাখান করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। তারপরও কেউ যদি উপজেলা নির্বাচনে যুক্ত হবার প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব।

লাখাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী স্বপন বলেন- ১৭ এপ্রিলের পর কোন নেতাকর্মী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি। তারপরও প্রমাণ পেলে দল থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের জনগণকে সাথে নিবার্চন বয়কট করার নির্দেশ দেন। সেই সাথে নির্বাচনে কিংবা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করলে আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়ে দেন। এরপর হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি এক জরুরি সভায় সকল উপজেলার নেতাকর্মীদের সেই নির্দেশ জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads